AI (Artificial Intelligence) কাজ করে ডেটা, অ্যালগরিদম এবং মেশিন লার্নিং-এর সাহায্যে। যা একসাথে মিলে মেশিনকে বুদ্ধিমান করে তোলে এবং নির্দিষ্ট সমস্যার সমাধান করতে সাহায্য করে। এটি মূলত শেখার প্রক্রিয়ার উপর ভিত্তি করে কাজ করে। যেখানে মেশিন বিভিন্ন ধরণের ডেটা থেকে তথ্য সংগ্রহ করে এবং সিদ্ধান্ত গ্রহণের ক্ষমতা অর্জন করে।
AI কাজ সম্পাদন করার জন্য প্রয়োজন প্রচুর পরিমাণে ডেটা। এই ডেটা হতে পারে ছবি, শব্দ, টেক্সট বা সংখ্যা, যা AI সিস্টেম শেখার জন্য ব্যবহার করে। উদাহরণস্বরূপ, ফেস রিকগনিশন যা এআই মানুষের মুখের ছবি থেকে ডেটা সংগ্রহ করে।
ডেটা সংগ্রহ করার পর, AI অ্যালগরিদমের সাহায্যে সেই ডেটা বিশ্লেষণ ও প্রক্রিয়াকরণ করে। এই পর্যায়ে, AI সিস্টেম ডেটার মধ্যে প্যাটার্ন এবং সম্পর্ক খুঁজে বের করে।
AI-এর মস্তিষ্ক বলা যেতে পারে অ্যালগরিদমকে। অ্যালগরিদম হল কিছু নিয়ম বা ফর্মুলা, যা AI সিস্টেম ব্যবহার করে, ডেটা বিশ্লেষণ ও সিদ্ধান্ত গ্রহণের জন্য। AI-এর অনেক ধরনের অ্যালগরিদম আছে, যেমন ডিপ লার্নিং, মেশিন লার্নিং, নিউরাল নেটওয়ার্ক ইত্যাদি।
মেশিন লার্নিং AI-এর একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ। (krea ai) এর মাধ্যমে মেশিন ডেটা থেকে শিখে ক্রমাগত উন্নতি করতে পারে। এতে AI সিস্টেমকে বারবার ডেটা দিয়ে প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়, যাতে সিস্টেম নতুন জিনিস শিখতে পারে এবং পূর্বের অভিজ্ঞতার ভিত্তিতে সঠিক সিদ্ধান্ত নিতে পারে।
শেখার পর AI সিস্টেম নতুন পরিস্থিতিতে কীভাবে সাড়া দিতে হবে তা শিখে ফেলে। সঠিক অ্যালগরিদম ব্যবহার করে AI ডেটা থেকে সিদ্ধান্ত গ্রহণ করে এবং সেই অনুযায়ী ফলাফল প্রদান করে। উদাহরণস্বরূপ, AI চ্যাটবট ব্যবহারকারীর প্রশ্নের উত্তর দেয়ার সময় আগের ডেটা ব্যবহার করে উত্তর তৈরি করে।
সবশেষে, AI সিস্টেম ব্যবহারকারীর প্রশ্নের ভিত্তিতে সঠিক তথ্য বা সমাধান প্রদান করে। ফলাফল সঠিক হলে সিস্টেম আরও কার্যকর হয়, আর ভুল হলে সেটি সংশোধন করতে পারে।
মানুষের মুখ শনাক্ত করতে AI ডেটা ব্যবহার করে এবং অ্যালগরিদমের সাহায্যে মুখের বৈশিষ্ট্যগুলো বিশ্লেষণ করে।
ব্যবহারকারীর প্রশ্ন বোঝার জন্য AI ভাষা প্রক্রিয়াকরণ করে এবং প্রাসঙ্গিক উত্তর তৈরি করে।
এআই তার শেখার প্রক্রিয়ায় ক্রমাগত উন্নতি করতে পারে, তাই এর কাজের ক্ষমতা এবং দক্ষতা দিন দিন বৃদ্ধি পাচ্ছে।